কলেজে
যেতে, ইস্কুল যেতে তোমরা ‘ও’ কে রোজই লক্ষ্য করে থাকো। আর নানা রকম ভাবনা মনের
ভিতর ঘুরপাক খায়। খাবেই তো বস। এটা তো ঘুরপাক খাওয়ারই সময়। যাই হোক তা তোমাদের এই ‘ও’
কে জানার আগ্রহ থেকেই পোস্টটি টাইপ করার ইচ্ছে হল। রোজ দেখলেও মনে যে কি চলছে তা উপরওয়ালাও জানেন
না। তবু বিন্দু তে সিন্দু খোঁজার এক খুদ্র চেষ্টা আরকি? কমেন্ট দেখেই বুঝতে পারবো
কতটা সার্থক হল পোস্ট করা।
আলসেমির কারনে এই পোস্ট টা এতদিন টাইপ করতে পারিনি।
আর যদি ঠিক মত ফিডব্যাক না পাই তবে বাংলায় আর পোস্টই করব না।
ধন্যবাদ এবিপি কে। পোস্টটি সম্পূর্ণ আমার নিজের লেখা
নয়। একটি পত্রিকা থেকে টাইপ করা। মাঝে আমি কিছু পরিবর্তন করেছি তবে মূল
ব্যাপারটিকে একই রেখেছি।
১। ন্যাকামো করাটা মেয়েদের জন্মগত
অধিকার- মেয়ে without ন্যাকামো? শুনে মনে হচ্ছে ছেলে without দাঁড়ি! তবে মা লক্ষ্মীদের যোগ্যতায় ভেরিয়েশন আছে, কেউ ন্যাকামোতে মাধ্যমিকের
গণ্ডি ডিঙোতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে, আবার কেউ স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করে ফেলেছে! যেন
ব্যাপারখানা হল, ইয়ে ‘দোস্তি’ হম (মেয়ে + ন্যাকামো) কভি নেহি তোড়ঙ্গে!!
২। একই কথার প্যানপ্যানানি- কাজের কথা শুনলে বীরপুঙ্গবেরা মনে মনে বলে, পারব না-না, না-না। কান বন্ধ করে
এরা কাজ হাসিল করে। এহেন পাবলিকদের দিয়ে কোন কাজ করাতে গেলে তা বার বার বলা ছাড়া
গতি নেই। নিন্দুকেরা এরই নাম দিয়েছে ‘প্যানপ্যানানি’।
৩। প্রেম করার পর মনে হয় এই ছেলের
সঙ্গে প্রেম করলাম কি করে- ‘পেরেম’টা মজবার আগে যে
ছেলেটির ক্রিকেটীয় স্কিল, ডেডিকেশন দেখে আমাদের কন্যে পেরেমে খাবি খেয়েছিল, মাস না
ঘুরতে সেই বয়ফ্রেন্ড খেলার জন্য অ্যাপো মিস করলে ঝগড়া, কান্না, ফোন বন্ধ কত্তকি!
‘এরকম একটা ইনসেনসিটিভ ছেলেকে ভালবেসেছি!’ মেয়েরা নিজেদের যেকোনো সিদ্ধান্তে অনবরত
মাথা ঠুকে চলে।
৪। পলিটিক্স, খেলা, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের
ব্যাপারে মেয়েরা... হি হি- তারা এসব তুচ্ছ ব্যাপারে
খোঁজ রাখেনা। কম্পিটিটিভ পরীক্ষার আগে দুলে দুলে গুচ্ছের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের
পুরিয়া গিলে নেওয়া ছাড়া, তারা ও পথ ভুলেও মাড়ায় না।
৫। মেয়াদের পেটে কথা থাকে না- কন্যেরা ইচ্ছে করে গোপন কথাটি ওপেন করে, এরকম অপবাদ আমি দেবনা। আসলে কোন
অ্যাকশনের কি রিঅ্যাকশন হতে পারে, তা ঠাওর করার মত ইনটিউশন ‘বালিকা’ দের নেই! তাই
আলটি কনক্লুশন? সিক্রেট মেয়েদের সয় না।
৬। মেয়েদের ‘না’ মানে ‘হ্যাঁ’- নারী বাহিনীর মুশকিল ব্যাপারটা হল গিয়ে, তারা পষ্টাপষ্টি কথা বলতে পারে না।
তাই প্রেমিক প্রবরকে হতে হবে ‘অন্তর্যামী’! প্রেমিকার আবেগের একবিন্দু দেখে
বন্ধুকে সিন্ধুর আয়তন আন্দাজ করতে হবে। না পারলে হয়ে গেল!
৭। মেয়েরা যুক্তি-বুদ্ধির ধার
ধারেনা- আবেগে ভাসে- তাইতো সম্পর্ক সুন্দর হয়
রমনীর গুণে। আরে বাবা দিল কা মামলা কি আর বুদ্ধি দিয়ে ভেবে, যুক্তি দিয়ে বিচার
চলে? ইমোশনে সপসপে বলেই কন্যের দল অন্যপক্ষের ভুরি-ভুরি ভুল মাফ করার মহানতা
দেখায়!
৮। মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু- এসব মেয়েদের নামে চালানো মেল শভিনিস্ট কুলের অপপ্রচার। তারা এমন একখানি ছেলে
দেখাক, যে নিজে ফেল্টু আর বন্ধু পেয়েছে ফাস্টো কেলাস... এতে বেজায় খুশি!
৯। ছেলেরা সাজতে সময় নিলে তারা হাসির
খোরাক- সাজুগুজু করবে মেয়েরা বস্, তোমাদের তো এটা বাপের সম্পত্তি
নয়! ছেলেদের সাজ বডি স্প্রে-তে শুরু, আর অখানেই শেষ। সেখানে যদি কারও রেডি হতে সময়
লাগে, তার ‘জেন্ডার’ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে!
১০। ভালবাসা থাকুক ছাই না থাকুক
আদিখ্যেতা চাই- ভালবাসা আর দেখন্দারির মধ্যে তফাতটা মেয়েরা
ঠিক বোঝে না। ‘পেরেম’ করলে যত্ন আত্তি দেখাতেই হবে! তারপর সেই কেয়ারিং প্রেমিক
কেয়ারের মুন্ডুপাত করে ভোকাট্টা হলেও ক্ষতি নেই!
১১। মেয়েরা জোড়ি মেকার, ছেলেরা জোড়ি
ব্রেকার- পাঁচ বন্ধুর মধ্যে একটির রমনীরত্ন জুটেছে, বাকীদের কপাল ঢনঢনে। তখন ‘রইল বাকি
চার’এর জীবনের ব্রত, বন্ধুটিকে যেনতেন প্রকারে নিজেদের সিঙ্গেল লাইনে ঢুকিয়ে
নেওয়া। উল্টো দিকে মেয়েরা, বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুর সঙ্গে নিজের সিঙ্গল বন্ধুর সেটল
করার জন্য ঘটকালি করে... এহেন মিল-মিলান্তির বেত্তান্ত শেষ হইবার নয়।
১২। ব্রহ্মাস্ত্র কান্না- ও আমার জন্মদিন ভুলে গেল? মা দ্যাখো, দাদা আমার টিশার্ট নোংরা করে দিয়েছে!
বাবা, এতো ছোট ভুলের জন্য তুমি এত্ত বকলে? সব কিছুতেই ভ্যাঁ! একবার যখন ‘কান্না’
নামক ব্রহ্মাস্ত্রটি ছুঁড়ে দিল মেয়েরা, ব্যাস তাতেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ঘায়েল! পটাপট
সব ‘না’ গুলো ‘হ্যাঁ’ তে বদলে গেল।
১৩। নিজের সিদ্ধান্তে প্রশ্নচিহ্ন
ঝোলে- বয়ফ্রেন্ড বাছাই, জামা-জুতো কেনা, খাবার অর্ডার করা মায়
দুই বন্ধু এক সাথে রুমাল কিনলেও, অন্যেরটা দেখে মনে হয়, ধুস ওরটা আমার চেয়ে ঢের
ভালো। নিজের সিদ্ধান্তে ললনারা খুশি হতে পারে না। তারা ডাইনে বাঁয়ে না গিয়ে দুইএর
মাঝে ঝুলতে থাকে।
১৪। সব মেয়ের স্বপ্ন ‘প্রিন্স
চার্মিং’- সক্কলের স্বপ্ন বয়ফ্রেন্ড কে দেখতে হবে ফিলিম
স্টার এর মত।
১৫। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের
ম্যাচিয়োরিটি আসে তাড়াতাড়ি- পরিপক্কতার আর দোষ কি!
ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের বড় করার কাজে কমর বেঁধে লেগে পড়ে বাড়ীর বড়রা। সেখানে ছেলেরা
বাড়ীতে অনন্তকাল ‘খোকা’ থাকে। বিয়ের সময় বাবা-মা এর প্রথম প্রশ্ন, দুজনের বয়সের
ফারাক কত? প্রশ্নে যুক্তি হ্যাজ।
১৬। কেয়ারিং হতে পারে শুধু মেয়েরাই- আচ্ছা, কেয়ার কাকে বলে? জেনে কি হবে বস্! কেয়ারের অন্তরালে মেয়েরা তো চায়
একটি বংশবদ বয়ফ্রেন্ড, যে তার হ্যাঁ-তে ঘাড় হেলাবে না-তে ঘাড় ঝাঁকাবে। তাই
বেশীরভাগ ছেলেরই কেয়ারের পাঠ পড়া থাকে না।
১৭। যেসব ছেলেরা মজার কথা বলে, তাদের
মেয়েরা বেশী পছন্দ করে- ফালতু কথা। আসলে সামনে
হেসে কুটোকুটি খেলেও নিজের বয়ফ্রেন্ডের পোস্টে ভাবার সময় অন্য কোন হ্যান্ডু
পাবলিককে ভাবে। সামনে কিছু না বললেও পিছনে কিন্তু এই ধরনের বান্দা গুলোকে নিয়ে বেশ
হাসাহাসি করে।
১৮। অনলি দর্শনদারি, নো গুন বিচারি- ফ্রম বয়ফ্রেন্ড টু পেট... লুক নিয়ে নো কম্প্রোমাইজ। বিচ্ছিরি পোশাক পরলে বা
নট সো গুড লুকিং বয়ফ্রেন্ড এর হাত ধরে বেরোলে মেয়েদের ‘পেস্টিজ’ পাংচার হয়।
১৯। কোয়ান্টিটিতে বিশ্বাসী,
কোয়ালিটিতে নয়- অদ্ভুত নেচার! পরে আরাম পাওয়া যাবে কিনা,
টেঁকসই হবে কিনা, এসব প্রশ্নের ধার না ধেরে মেয়েদের ফার্স্ট প্রেফারেন্স হল, সংখ্যায়
বেশী মানেই প্রতিদিন নতুন নতুন জুত-জামা।
২০। সামনে যদি শাড়ী গয়নার গল্প হয়,
দুনিয়ার সব কিছু বেমালুম ভুলে যায়- বেসিক নেচার।
তবে সোনার দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে এসব প্রীতি এখন মোটেই ফালতু নয়। শাড়ী গয়না থেকে
কনক্লুড করে জেটা পাওয়া যায় টা হল, মেয়েরা ভীষণ সংরক্ষণ করতে ভালবাসে।
২১। পিএনপিসি হলে মেয়েদের আর কিছু
চাই না- এটা মহিলাদের সাংবিধানিক রাইট। এই ব্যাপারে
কথা না বাড়ানোই ভালো।
২২। যে কোন পরিস্থিতিতে শোনা কথাকে
বেদ বাক্য বলে ধরে নিতে পারে- তাই কি? মেয়েরা বেশ
আঁট-ঘাঁট বেঁধে, রীতিমতো রিসার্চ সেরে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে
একটু সন্দেহবাতিক হয় বটে, তবে সেটা শুধু শুনে নয়, এমনিতেই।
২৩। ঘণ্টার পর ঘণ্টা উইন্ডো শপিং এ
সময় নষ্ট করে অথচ ‘অ্যাপো’-র সময় বয়ফ্রেন্ড পাঁচ মিনিটও দেরি করলে... পুরো
লঙ্কাকান্ড! উফফ উইন্ডো শপিং! একটা টপ কিনতে পাক্কা দুটো
ঘন্টা! অথচ ‘অ্যাপো’তে দেরী হলেই মেয়েদের বক্তব্য হল, যে কোন জায়গাতেই নাকি একা
একা দাঁড়িয়ে থাকতে ভীষণ অপমানিত বোধ করেন তাঁরা! উফফ কী লজিক মাইরি!
২৪। রেগেগেলে বয়ফ্রেন্ড কে আঁচড়ে
দেয়, অথচ বয়ফ্রেন্ড যদি রেগে গিয়ে হাতটা চেপে ধরে... ব্যস, ‘গায়ে হাত তুললে?’- বিচার ব্যবস্থা যেভাবে দিন দিন কড়া হচ্ছে, তাতে ‘হাত তোলা’ মানেই... রেগে
গেলে মেয়েদের হুঁশ থাকেনা, ‘ফলে অশান্তি’ (মানে প্রেমিকা এবং তিনি সম্পর্কিত
বিভিন্ন ঝামেলা) থেকে দূরে থাকাটাই বেস্ট অপশন।
২৫। শারীরিক ভাবে ছেলেদের থেকে
দুর্বল হলেও সমস্যা দেখা দিলে মেয়েরা মানসিক ভাবে ভীষণ শক্তপোক্ত থাকে- শুধু প্রেম হওয়ার সময়ই নয়, প্রেম যদি কেটেও যায়, ঠিক সেই মুহূর্তে একটি ছেলের
থেকে একটি মেয়ে অনেক বেশী স্টেডি থাকে। উত্তর ‘হ্যাঁ’ই হোক অথবা ‘না’! এটাই হল
মানসিক ভাবে শক্ত হওয়ার প্রমান।
২৬। যেকোনো সময় এবং পরিস্থিতিতে
মেয়েরা ‘সারপ্রাইজ’ ব্যাপারটা বেশ এনজয় করে। পছন্দও করে- মেয়েরা আসলে মনে মনে খুব রোম্যান্টিক অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চারাস হয়। ফলে বাস্তব
জীবনে তাঁরা ‘সারপ্রাইজ’এর ছোঁয়া পেতে খুব ভালবাসে।
২৭। ছেলেরা চট করে অতীতের সম্পর্ক
ভুলে গেলেও মেয়েরা সাধারণত অতীত ভুলতে সময় নেয়। সত্যি কথাটা হল, জীবনের প্রথম প্রেমটা কেউই প্রায় ভুলতে পারেনা! ফলে অতীতের
প্রেমের ব্যাপারে স্পর্শকাতর সকলেই। ছেলেরাও। মেয়েরাও।
২৮। মেয়েদের একটা সহজাত অভিনয় ক্ষমতা
রয়েছে।– এটা নিশ্চয়ই সবাই জানে। অভিনয় বলে অভিনয়! এই
ক্ষমতাটা মেয়েরা যেকোনো সময়, যেকোনো মুহূর্তে প্রয়োগ করে থাকে এবং ফলও হাতে নাতে
পেয়ে যায়।
২৯। প্রেমের সম্পর্কে ‘প্যাশন’
ব্যাপারটা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অনেক বেশী থাকে- প্যাশন নয় বাড়াবাড়ি। যেকোনো বিষয়েই মেয়েরা বাড়াবাড়ি করতে ভালবাসে। সেটাই লোকে
বলে ‘প্যাশন’।
৩০। মেয়েদের যদি অফবিট ‘কুচু’,
‘মুনু’, ‘সুনু’ টাইপের ডাকনাম ধরে ডাকে, খুব পছন্দ করে- খুব কাছের কেউ ডাকনামে ডাকলে পছন্দ করে, তবে যে কেউ ডাকলে মোটেই পছন্দ করে
না।
৩১। বয়ফ্রেন্ড এর দায়িত্বই হল,
গার্লফ্রেন্ডকে স্পেশ্যালি ট্রিট করবে। এরকমটাই চায় সব মেয়েরা- এক্কেবারে ১০০% সঠিক। বাজে এক্সপেকটেশন। ছেলেরা সাধারনত চেষ্টা করে
স্পেশ্যালি ট্রিট করার, কিন্তু এই ‘আশা’ নামক বস্তুটি এতটাই ভাস্ট, এতটাই সীমাহীন
যে, কোনদিনই রিচ করতে পারে না।
৩২। দিনের
বেশীরভাগ সময়ই ক্রাশ, ভাললাগা, প্রেমে পড়া ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করে- একেবারে সত্যি না হলেও কিছুটা সত্যি। আসলে
মেয়েরা সম্পর্কের ব্যাপারে এতটা সিরিয়াস হয় যা আমরা মানে ছেলেরা কল্পনাও করতে
পারবো না।
৩৩। লোককে
সাজেশান দিতে ভালবাসে মেয়েরা- পৃথিবীর বড় বড় সমস্যা নিয়েও মেয়েরা যেমন কথা বলতে ভালবাসে তেমনই ছোট্ট বিষয়
নিয়েও গুচ্ছের কথা বলে দেয়। আসলে মেয়েরা যেন-তেন কথা বলতে খুবই পছন্দ করে তাই,
দরকারে-অদরকারে সাজেশান দেয়।
৩৪। ঘুম
ভাঙ্গার পর এবং ঘুমতে যাবার ঠিক আগে ফোন করে তাকে জানাতেই হবে। একটু বেশী কনর্সানড
হয়- আসল উদ্দেশ্য বয়ফ্রেন্ড এর সব ব্যাপারে ট্র্যাক রাখা।
কনর্সাননেস এর ব্যাপারটা একদম ঠিক।
৩৫।
একদিকে যেমন হেব্বি শপিং করে তেমনই হিসেবও করে এক্সেলেন্ট- মেয়েরা এক্কেবারে পাই-পয়সা হিসেব করে চলে(তা বলে কিপটে বোলো না বস)। তাই
হিসেবের পর অতিরিক্ত টাকাগুলো পোলাপানদের মত না উড়িয়ে শপিং-এ কাজে লাগায়। এটিকে
বলে ইউটিলিটি অফ মানি, কিপ্টেমি নয়। বুঝলে বাছা!
৩৬।
অকারনে বেশি বকে- দরকার থাকে বলেই কথা বলে। মেয়েদের অবলা করে রাখলেই তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজের
সুবিধে। তাই মেয়েদের দুটো কথাও দশটা মনে হয়। তাছাড়া ছেলেগুলোর মাথায় গ্রে ম্যাটার
এতো কম যে, একটা কথা দশবার না বললে অদের মাথায় ঢোকে না। অগত্যা...
৩৭।
মেয়েরা সবসময় নিজেদের ভিতর বিউটি কম্পিটিশন চালায়- এই ডিপার্টমেন্টে নো হস্তক্ষেপ। সাজেগোজে কেউ কাউকে টেক্কা দিতে ছাড়ে না।
বাসে-ট্রামে নিত্যযাত্রী এমনকি অচেনা মেয়েরাও নিজেদের ভেতর বিউটি কম্পিটিশন চালায়।
রজ বাড়ি থেকে বেরনোর আগে ওয়্যারড্রবে হাত দিয়ে চট করে ঝালিয়ে নেয় কালকে কে কতটা
সেজেছিল। আজ তাদের সকলকে টেক্কা দিতে হবে যে!
৩৮। রোগা
হতে লাঞ্চ বা ডিনার স্কিপ করে, কিন্তু চকোলেট বা পিৎজা খেতে বাঁধা নেই- রোগা হবে বলে লাঞ্চ-ডিনারে ভাত-রুটি কে টা টা করে কচ কচ করে কাঁচা আনাজপাতি
চিবিয়ে নেয়। তারপর খানিক বাদে নিজেকে হাল্কা মনে হতেই চিজবার্স্ট পিৎজায় কামড় বা
ডায়েট কোকে চুমুক। হাই থট বস। মগজে ঢুকবে না।
৩৯।
ইমোশনাল অত্যাচার একদম সহ্য করতে পারে না- সেটা সম্ভবও নয় বস। কারন ওটা তো মেয়েদেরই অস্ত্র। সেটাতো অন্যকে অ্যাটাক করার
জন্য। নিজের অস্ত্রে কি ঘা খেতে কারও ভালো লাগে!
৪০। নারী
চরিত্র বেজায় জটিল- মেয়েদের মনে মাথায় যে সারাদিন কি চলে? দেবা ন
জানন্তি। একই কথায় কখনও হাসে কখনও কাঁদে, দফায় দফায় অ্যাকশন রিঅ্যাকশন চেঞ্জ।
৪১। চওড়া কাঁধ ও হাল্কা মাসল ওলা
ছেলেদের বেশ পছন্দ করে- আসলে মেয়েরা প্রেমের হাত ধরে নিরাপত্তা চায়।
তাই যে ছেলে তাকে জড়িয়ে ধরার সময় পুরো বুকের ভেতর আড়াল করে ফেলতে পারে এমন কাউকেই
মেয়েদের পছন্দ। কি ভাবছ বস? জিমে যাচ্ছ তো?
৪২।
মেয়েদের সিদ্ধান্ত অলওয়েজ পরিবর্তনশীল- এ পৃথিবীতে কোন জিনিসটা পালটায় না বলতো? যদিও ছেলেদের চিন্তা ভাবনার ধাঁচটা
একই রয়েগেছে। কিন্তু মেয়েদের মাথায় বুদ্ধি হ্যাজ। তাই নিয়মের উল্টো পথে হাঁটে না।
দরকারে সিদ্ধান্ত কেন? লাইফে অনেক কিছুই বদলায়।
৪৩। ফ্লার্ট
করাটা মেয়েদের সহজাত গুন- ছেলেরা অল টাইম মেয়েদের
পিছু পিছু ঘুরলে মেয়েদের পরানে কি মায়া-দয়া নেই যে তারা একটু ঘুরেও তাকাবে না?
বেচারাগুলো যাতে দুঃখু না পায়, তাই একটু হাত নাড়িয়ে হাই-হ্যালো বলে। এখন সেটাকে
যদি ফ্লার্টিং বল তাহলে কিছু বলার নেই।
৪৪। তাদের
চেয়ে বয়সে একটু বড় ছেলে পছন্দ করে- একেই ছেলেরা কম বোঝে। তার ওপর আবার সমবয়সি হলে খুব চাপ। তাকে শেখাতে শেখাতেই
জীবন কাবার। তাই একটু বেশি বয়সের ছেলে হলে একটু সুবিধে হয়। বুদ্ধিটা একটু বেশী
থাকে।
৪৫।
মেয়েদের কাছে সবসময় ফিটফাট ছেলেরাই হিট- একটা ছেলের
একগাল দাঁড়ি থাকতেই পারে, কিন্তু প্রপারলি ট্রিমড হতে হবে। জামাটা হাফ ইন করে পরতে
পারি, তবে সেটা ধোপাবাড়িফেরত হতে হবে। মানে গুছিয়ে আগোছালো করতে হবে। তবেই মেয়েদের
কাছে হিট। বুঝলে ভায়া?
৪৬।
ছেলেদের ঝুলিয়ে রাখে- কারও মুখের ওপর কি আর ফস্ করে না বলা যায়!
একটু ভেবে দেখো তো! একটা ছেলে রোজ তোমায় ভালবেসে কত ফুল, গিফট, চকোলেট দিচ্ছে।
সেখানে দুম করে তাকে ‘না’ বললে তার কষ্ট হবে না? মেয়েদের তো দয়ার শরীর... কাউকে
কষ্ট দিতে পারে না। তাই আর কি ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কিছুই বলে না।
৪৭।
মেয়েদের মনে প্রছুর খুচরো ব্যাথা থাকতে পারে- ফুললি ফালতু কথা। চারপাশে দু-চারটে লকের সাথে কথা বলাকে মোটেও খুচরো ব্যাথা
বলে না। মেয়েরা একজনের প্রতিই ডেডিকেটেড ও কমিটেড থাকে।
৪৮। কোন
মেয়ে যদি তোমার কাছে নিজের সমস্যার কথা বলতে আসে তবে চুপচাপ শুনে যাও- সমস্যার সমাধান করতে যেওনা খবরদার। তাহলেই
কিন্তু উল্টো সমস্যায় পড়বে। মেয়েরা নিজেদের প্রব্লেম শেয়ার করতে চায়, তার সলিউশন
নয়।
৪৯।
প্রেমিকের প্রাক্তন প্রেমিকা মানেই এক নম্বরের বিপ... বিপ...- এটা পাক্কা ধারণা। আগের গার্লফ্রেন্ডটা যা ইয়ে
ছিল না! এটা এক্কেবারে কমন থট। এই থট কে ভুলেও পট করে তাড়াতে যেও না। এমনকি মেয়েরা
ছেলেদের এক্স-কে গাল দেওয়ার বেলায় ছেলেদের থেকেও বেশি মুখ খারাপ করে।
৫০। বড্ড
শো-অফ করে- নতুন নেল পালিশ পরলেও সকলকে ডেকে দেখায়। রোজ নতুন জামা
চাই। একটা জামা অন্তত কুড়ি দিনের মধ্যে রিপিট করে না। তবে বন্ধু এতে তো তেমন ভুলও
দেখছি না। কারন তোমাদেরই কথা, ‘আগে দর্শনদারি, পরে গুন বিচারি!’
এতো গেল মেয়েদের ব্যাপার। ছেলে বলে কি ছেলেদের
ব্যাপারে কিছু বলব না? তাই হয় নাকি! নেক্সট পোস্ট এ ছেলেদেরও এরকম ৫০ টি ব্যাপার স্যাপার
নিয়ে আসব। তবে হ্যাঁ, ফিডব্যাক দেখেই সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। ভালো থাকো সবাই।
গুরু, সুপার লাইক। একদম ঠিক কথা।
ReplyDeleteJio Guru... Solid Post...
ReplyDelete